Monday, September 17, 2018

রাফউল ইয়াদায়েনের গুরুত্

রাফ‘উল ইয়াদায়েনের গুরুত্ব ও ফযীলত :
************************************

(১) ইবনু ওমর (রাঃ)-এর ভূমিকা-

عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا رَأَى رَجُلًا لَا يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا رَكَعَ وَإِذَا رَفَعَ رَمَاهُ بِالْحَصَى.

নাফে‘ (রাঃ) বলেন, নিশ্চয় ইবনু ওমর (রাঃ) যখন কোন ব্যক্তিকে দেখতেন যে, সে রুকূতে যাওয়া ও উঠার সময় রাফ‘উল ইয়াদায়েন করছে না, তখন তিনি তার দিকে পাথর ছুড়ে মারতেন।[1]

(২) উক্ববা বিন আমের (রাঃ)-এর দাবী-

قَالَ عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ الْجُهَنِىُّ صَاحِبُ رَسُوْلِ اللهِ  إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ عِنْدَ الرٌّكُوْعِ وَعِنْدَ رَفْعِ رَأْسِهِ مِنَ الرٌّكُوْعِ فَلَهُ بِكُلِّ إِشَارَةٍ عَشْرُ حَسَنَاتٍ.

রাসূল (ছাঃ)-এর ছাহাবী উক্ববা ইবনু আমের আল-জুহানী (রাঃ) বলেন, যখন মুছল্লী রুকূতে যাওয়ার সময় এবং রুকূ থেকে উঠার সময় রাফ‘উল ইয়াদায়েন করবে, তখন তার জন্য প্রত্যেক ইশারায় দশটি করে নেকী হবে।[2] শায়খ নাছিরুদ্দ্বীন আলবানী (রহঃ) উক্ত হাদীছ বর্ণনা করার পর বলেন, একটি হাদীছে কুদসী এই কথার সাক্ষী। আল্লাহ বলেন, .. যে ব্যক্তি একটি নেকীর কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করবে অতঃপর তা করে ফেলবে, আল্লাহ তার জন্য ১০ থেকে ৭০০ নেকী লিপিবদ্ধ করবেন’।[3]

(৩) ইমাম বুখারীর উস্তায আলী ইবনুল মাদ্বীনী (১৬১-২৩৪ হিঃ) ইবনু ওমর (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীছ সম্পর্কে বলেন,

هَذَا الْحَدِيْثُ عِنْدِىْ حُجَّةٌ عَلَى الْخَلْقِ كُلُّ مَنْ سَمِعَهُ فَعَلَيْهِ أَنْ يَعْمَلَ بِهِ لِأَنَّهُ لَيْسَ فِيْ إِسْنَادِهِ شَيْءٌ.

‘এই হাদীছ আমার নিকটে সমগ্র উম্মতের জন্য দলীল স্বরূপ। প্রত্যেকে যে এই হাদীছ শুনবে তার উপরই আমল করা ওয়াজিব হয়ে যাবে। কারণ এই হাদীছের সনদে কোন ত্রুটি নেই’।[4]

(৪) ইমাম বুখারী (১৯৪-২৫৬ হিঃ) বলেন,

لَمْ يَثْبُتْ عَنْ أَحَدٍ مِنْهُمْ تَرْكُهُ.. قَالَ وَلَا أَسَانِيْدَ أَصَحُّ مِنْ أَسَانِيْدِ الرَّفْعِ .

‘ছাহাবীদের মধ্যে কোন একজনের পক্ষ থেকেও প্রমাণিত হয়নি যে, তিনি রাফ‘উল ইয়াদায়েন ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, রাফ‘উল ইয়াদায়েনের হাদীছের সনদের চেয়ে সর্বাধিক বিশুদ্ধ আর কোন সনদ নেই’।[5]

(৫) ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন,

وَذَكَرَ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا أَنَّهُ رَوَاهُ سَبْعَةَ عَشَرَ رَجُلًا مِنَ الصَّحَابَةِ وَذَكَرَ الْحَاكِمُ وَأَبُو الْقَاسِم بْنِ مِنْدَهْ مِمَّنْ رَوَاهُ الْعَشَرَةُ الْمُبَشَّرَةُ وَذَكَرَ شَيْخُنَا أَبُو الْفَضْلِ الْحَافِظُ أَنَّهُ تَتَبَّعَ مَنْ رَوَاهُ مِنْ الصَّحَابَةِ فَبَلَغُوْا خَمْسِيْنَ رَجُلًا.

‘ইমাম বুখারী ১৭ জন ছাহাবী থেকে রাফ‘উল ইয়াদায়েনের হাদীছ বর্ণনা করেছেন। হাকেম ও আবুল ক্বাসেম মান্দাহ জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ১০ জন ছাহাবী থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন। আর হাফেয আবুল ফাযল অনুসন্ধান করে ছাহাবীদের থেকে যে সমস্ত বর্ণনা উল্লেখ করেছেন, তার সংখ্যা ৫০ জনে পৌঁছেছে’।[6]

(৬) শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী বলেন, وَالَّذِيْ يَرْفَعُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّنْ لاَّ يَرْفَعُ فَإِنَّ أَحَادِيْثَ الرَّفْعِ أَكْثَرُ وَأَثْبَتُ ‘যে ব্যক্তি রাফ‘উল ইয়াদায়েন করে, ঐ ব্যক্তি আমার নিকট অধিক প্রিয়- ঐ ব্যক্তির চেয়ে, যে রাফ‘উল ইয়াদায়েন করে না। কারণ রাফ‘উল ইয়াদায়েন-এর হাদীছ সংখ্যায় বেশী ও অধিকতর মযবুত’।[7]

(৭) আলবানী বলেন,

وَهَذَا الرّفْعُ مُتَوَتِرٌ عَنْهُ  وَكَذَلِكَ الرَّفْعُ عِْندَ الْاِعْتَدَالِ مِنَ الرُّكُوْعِ وَهُوَ مَذْهَبُ الْأَئِمَّةِ الثَّلاَثَةِ وَغَيْرِهِمْ مِنْ جَمَاهِيْرِ المُْحَدِّثِيْنَ وَالْفُقَهَاءِ وَهُوَ اَّلذِىْ مَاتَ عَلَيْهِ مَالِكٌ رَحِمَهُ اللهُ.

‘এই রাফ‘উল ইয়াদায়েনের আমল রাসূল (ছাঃ) থেকে বর্ণিত ‘মুতাওয়াতির’ পর্যায়ের হাদীছ দ্বারা অনুমোদিত। রুকূ থেকে উঠে দাঁড়িয়েও রাফ‘উল ইয়াদায়েন করতে হবে। এটা তিন ইমামের মাযহাব এবং অন্যান্য অধিকাংশ মুহাদ্দিছ ও ফক্বীহর মাযহাব। ইমাম মালেকও এর উপরই মৃত্যু বরণ করেছেন’।[8]

রিফারেন্স:

[1]. ইমাম বুখারী, রাফ‘উল ইয়াদায়েন হা/১৪, পৃঃ ১৫; সনদ ছহীহ; সিলসিলা যঈফাহ হা/৯৪৩-এর আলোচনা দ্রঃ; বায়হাক্বী, মা‘রেফাতুস সুনান হা/৮৩৯।

[2]. বায়হাক্বী, মা‘রেফাতুস সুনান হা/৮৩৯; আলবানী, ছিফাতু ছালাতিন নাবী, পৃঃ ১২৯। [3]. বুখারী হা/৬৪৯১, ২/৯৬০ পৃঃ; মুসলিম হা/৩৪৯-৩৫৫- فَمَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كَتَبَهَا اللهُ لَهُ عِنْدَهُ حَسَنَةً كَامِلَةً فَإِنْ هُوَ هَمَّ بِهَا فَعَمِلَهَا كَتَبَهَا اللهُ لَهُ عِنْدَهُ عَشْرَ حَسَنَاتٍ إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ إِلَى أَضْعَافٍ كَثِيرَةٍ।

[4]. তালখীছুল হাবীর ১/৫৩৯ পৃঃ।



মোঃ কিল্টন চৌধুরি

[5]. ফৎহুল বারী হা/৭৩৬-এর আলোচনা দ্রঃ।

[6]. ফৎহুল বারী হা/৭৩৬-এর আলোচনা দ্রঃ।

[7]. হুজ্জাতুল্ল­া-হিল বালিগাহ ২/১০ পৃঃ।

[8]. আলবানী, ছিফাতু ছালাতিন নাবী, পৃঃ ১২৮-১২৯ ।।

Saturday, September 15, 2018

ড.জাকির নায়েকের পরিচয় !!


জ্ঞানের জীবন্ত কিংবদন্তি ডা. জাকির নায়েক(হাফিজাহুল্লাহ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনি।
বর্তমান বিশ্বে যে কয়জন জ্ঞানী ব্যক্তি ও পণ্ডিত আছেন তাদের মধ্যে ডা. জাকির নায়েক অন্যতম। তার জ্ঞানের পরিধি এতই বেশী যে, তাকে জ্ঞানের আধার বললেও ভুল হবে না। তিনি ডাক্তারি পেশায় সবোর্চ্চ ডিগ্রী নেওয়ার পরও ধর্ম শাস্ত্রের একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী পণ্ডিত হয়ে উঠেছেন। তিনি নিজেকে একজন বিভিন্ন ধর্মের ছাত্র হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি একাধারে কুরআন, হাদিস, বাইবেল, বেদ, গীতা, সহ সকল ধর্ম গ্রন্থের উপর পাণ্ডিত্য অর্জন করেছেন। তিনি সকল ধর্মের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের চেষ্টা করেন। ১৯৯১ সাল থেকে তিনি বিশ্বব্যাপী ইসলাম প্রচার করে আসছেন।
সভা, সেমিনার, বিতর্কের মাধ্যমে তিনি সবার মাঝে ইসলামকে একটি বিজয়ী ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে চলেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত IRF এবং দুবাই ভিত্তিক Peach TV'র মাধ্যমে তিনি ইসলামের দাওয়াতকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছেন। বিতর্ক ও সেমিনারে বক্তব্য দেওয়ার সময় বক্তব্যের প্রমাণে তিনি বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে অধ্যায় ও পৃষ্ঠা নম্বর দ্বারা রেফারেন্স দিয়ে থাকেন। যা তার অগাধ পান্ডিত্যের প্রমাণ দিয়ে থাকে। তার জ্ঞানের পরিধি এতই বিশাল যা, একমাত্র আল্লাহ তায়ালার রহমত ছাড়া অর্জন করা সম্ভব নয়। আসুন আমরা এই মহান ইসলাম প্রচারকের জীবন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।
জন্ম ও পরিচয়:
ডা. জাকির নায়েক ১৯৬৫ সালের ১৪ অক্টোবর ভারতের মুম্বাই শহরে সালাফি গোত্রে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পূর্ণ নাম ডা. জাকির আব্দুল করিম নায়েক। বাল্য জীবনে তিনি মুম্বাইয়ের সেন্ট পিটার্স উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং পরে কিশেনচাঁদ সিল্লোরাম কলেজে লেখাপড়া করেন। তিনি টোপিওয়ালা জাতীয় মেডিকেল কলেজ ও নায়ার হাসপাতাল থেকে মেডিসিন বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেন। পরে মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিসিন ও সার্জারি বিষয়ে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করেন। তার স্ত্রীর নাম ফারহাত নায়েক, যিনি IRF এর মহিলা বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। জাকির নায়েক তার শৈশব থেকে ডাক্তারী পাশ করা পর্যন্ত তোতলা ছিলেন। কিন্তু ইসলামী দাওয়ার কাজ শুরু করার পর মহান আল্লাহর রহমতে তার কথা বলার জড়তা কেটে যায়।
১৯৮৭ সালে তিনি বিশিষ্ট ধর্ম গবেষক আহমেদ দিদাত এর সাথে সাক্ষাত করেন এবং ধর্ম বিষয়ে তার গবেষণা দেখে অনুপ্রাণিত হন। ১৯৯১ সালে তিনি দাওয়ার কাজ শুরু করেন এবং IRF (Islamic Research Foundation) নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানটি একটি অলাভ জনক ধর্ম গবেষণা প্রতিষ্ঠান। যেখানে বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত সকল ধর্ম এবং ধর্মীয় গ্রন্থ সমূহ নিয়ে গবেষণা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য হচ্ছে, গবেষণার মাধ্যমে ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে মানুষকে সত্য ও সঠিক পথের সন্ধান দেয়া এবং ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে ইসলামের সঠিক বানী সবার মাঝে পৌঁছে দেয়া। জাকির নায়েক তার লক্ষ সম্পর্কে বলেন, আমার লক্ষ হচ্ছে শিক্ষিত মুসলিম যুবকগনকে তাদের নিজস্ব ধর্ম সম্পর্কে সচেতন করা এবং ধর্ম সম্পর্কে তাদের পুরাতন ও ভুল ধারনা থেকে বাহিরে আনা। তিনি মনে করেন, ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় হামলার পর পাশ্চাত্য মিডিয়া বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে তা অপসারণ করা মুসলমানদেরই দায়িত্ব। এ ব্যাপারে তার লেখা বেশ কিছু নিবন্ধ ইসলামিক ভয়েস নামে অনেক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে।
নৃতত্ত্ববিদ থমাস ব্লোম হেনসেন লিখেছেন, নায়েক তার নিজের পাণ্ডিত্য দিয়ে বিভিন্ন ভাষায় কুরআন ও হাদিস শিক্ষা লাভ করেছেন। তার এই ধর্ম প্রচারের শৈলী তাকে মুসলিম ও অমুসলিমদের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয় করে তুলেছে। তিনি সঠিক ধর্মের ঠিকানা মানুষদের কাছে পৌঁছে দিতে অন্যান্য ধর্মবেত্তাদের সাথে প্রকাশ্যে বিতর্কে অবতীর্ণ হন। ধর্ম নিয়ে তার এই বিতর্ক অনুষ্ঠান রেকর্ড করা হয় এবং তা সিডি, ডিভিডি ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তার কথা প্রকৃত ভাবে রেকর্ড করা হয় ইংরেজিতে পরে এটি আরবি, উর্দু, বাংলা, হিন্দি সহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত করে তার প্রতিষ্ঠিত পিস টিভির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রচার করা হয়। তিনি যে সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করেন তা হচ্ছে, ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান, ইসলাম ও খ্রিষ্টান, ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম এবং ইসলাম ও ধর্মনিরপেক্ষতা। ডা. জাকির নায়েক ভারতের মুম্বাইতে আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কুল নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকৃত ইসলামী আদর্শে গড়ে তোলা হয়। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হয়। মোট কথা, তার এই প্রতিষ্ঠান থেকে গড়ে তোলা হচ্ছে আরও অনেক জাকির নায়েক। যাদের লক্ষ ও উদ্দেশ্য মানুষের মাঝে প্রকৃত ইসলামকে পৌঁছে দেয়া। IRF এর পক্ষ থেকে ভারতে একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে, যেখানে বিনা খরচে গরিব ও অসহায় মানুষদের চিকিৎসা প্রদান করা হবে।(বতর্মান ভারত সরকার পিস এর সকল কার্যক্রম স্থগিত করছে)
বক্তৃতা ও বিতর্ক:
জাকির নায়েক বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বিতর্কে অংশ গ্রহণ করেছেন। ভারতের অসংখ্য জায়গা সহ তিনি এ পর্যন্ত আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইতালি, মৌরতানিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, হংকং, থাইল্যান্ড, গায়ানা, ত্রিনিদাদ, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, সহ বিভিন্ন দেশে বক্তৃতা দিয়েছেন। তার অন্যতম একটি আকর্ষণীয় বিতর্ক ছিল বিশিষ্ট খ্রিষ্টান পণ্ডিত উইলিয়াম ক্যাম্বেলের সাথে। ২০০০ সালের ১ এপ্রিলে তাদের এই বিতর্কটা অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিকাগোতে। এই বিতর্কের বিষয় ছিল “দ্য কুরআন এন্ড দ্য বাইবেল ইন দ্যা লাইট অব সায়েন্স”। এই বিতর্কে উইলিয়াম ক্যাম্বেল পরাজয় স্বীকার না করলেও তিনি জাকির নায়েকের সামনে দারুণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। হাজার হাজার শ্রোতার সামনে তিনি দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। ২১ জানুয়ারি ২০০৬ সালে জাকির নায়েক ভারতের বেঙ্গালুরুতে লক্ষ লক্ষ লোকের সম্মুখে হিন্দুদের জনপ্রিয় ধর্মীয় গুরু শ্রী শ্রী রবি শংকরের সাথে বিতর্কে অবতীর্ণ হন। যার বিষয় ছিল “হিন্দু ও ইসলাম ধর্মে প্রভুর ধারনা”। জাকির নায়েক এই বিতর্কে ইসলাম ও হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে অত্যন্ত পাণ্ডিত্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করলে শ্রী শ্রী রবি শংকর লক্ষ লক্ষ হিন্দু মুসলমানের সামনে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনে রবি শংকর অনেক হিন্দু ব্যক্তিরও সমালোচনার মুখে পড়েন। ভারতের জনপ্রিয় সংবাদ ভিত্তিক চ্যানেল এনডিটিভির “ওয়াক দ্য টক” নামক অনুষ্ঠানে জাকির নায়েকের সাক্ষাতকার গ্রহণ করা হয় যেখানে উপস্থাপক ছিলেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রধান সম্পাদক শেখর গুপ্ত। অনুষ্ঠানটি ২০০৯ সালের ৮ ও ৯ মার্চ সম্প্রচার করা হয়। জাকির নায়েকের গত বছর চীনের ধর্মীয় নেতা দালাইলামার সাথে বিতর্কের কথা থাকলেও পরে দালাইলামা বিতর্ক থেকে তার নাম প্রত্যাহার করে নেন। জাকির নায়েক বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে তার সাথে বিতর্কে আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু তসলিমা নাসরিন জাকির নায়েকের সাথে বিতর্ক করতে শেষ পর্যন্ত সাহসে কুলিয়ে ওঠেননি। জাকির নায়েক এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ১৫০০ মতো পাবলিক সেমিনারে বক্তব্য দিয়েছেন। তার বিভিন্ন সাক্ষাতকার ও বক্তৃতা বিশ্বের ২০০টির মতো টিভি ও রেডিও চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে এবং নিয়মিত প্রচারিত হচ্ছে। মুসলিমদের পাশাপাশি তিনি অমুসলিমদের কাছেও সমান জনপ্রিয়। তার সেমিনারে অংশ নিয়ে এবং তার বক্তব্য শুনে শত শত অমুসলমান ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
তিনি উন্মুক্ত ময়দানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে বক্তব্য দিয়ে থাকেন। তার বক্তব্যের পর তিনি অমুসলমানও মুসলমানদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন। তিনি যখন যুক্তি উপস্থাপন করে থাকেন তখন আল কুরআন, হাদিস, বাইবেল, বেদ সহ বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থের পৃষ্ঠা ও অধ্যায়ের নাম সহ রেফারেন্স দিয়ে থাকেন।
জাকির নায়েক বলেছেন, ইসলামের বিরুদ্ধে চরম অপপ্রচার চালানোর পরও সেপ্টেম্বর ২০০১ থেকে জুলাই ২০০২ এর মধ্যে ৩৪০০০ মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ইসলাম হচ্ছে সত্য ও যুক্তির ধর্ম এবং মহাগ্রন্থ আল কুরআনেই রয়েছে ১০০০ এর বেশী বৈজ্ঞানিক যুক্তি। যা পশ্চিমারা পরিবর্তন করে কুরআনের বিরুদ্ধে ভ্রান্ত তথ্য পরিবেশন করছে। জাকির নায়েক আল কুরআনের সত্যতা সম্পর্কে যুক্তি প্রদান করতে গিয়ে অনেক বিশিষ্ট বিজ্ঞানীর যুক্তিকে কুরআন দ্বারা মিথ্যা প্রতীয়মান করেছেন। তিনি এমনভাবে প্রমাণ প্রদান করেন যে, সেখানে বিজ্ঞানের যুক্তি আল কুরআনের সামনে অসাড় হয়ে পড়ে। ২০১১ এর ফেব্রুয়ারি মাসে জাকির নায়েক ভারত থেকে অক্সফোর্ড ইউনিয়নের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ গ্রহণ করেন।
শান্তি সম্মেলন:
IRF ও পিস টিভির পক্ষ থেকে ২০০৭ সালের নভেম্বর মাস হতে প্রতি বছর মুম্বাই সিয়নের সুমাইয়া মিলনায়তনে ১০ দিন ব্যাপী শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করে আসছে। উক্ত সম্মেলনে জাকির নায়েক সহ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ২০ জন ইসলামিক পণ্ডিত ভাষণ প্রদান করে থাকেন। এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশের কয়েক লক্ষ মুসলমান ও অমুসলমান অংশ গ্রহণ করে থাকে। এই সম্মেলনে অনেক অমুসলমান ইসলাম ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন।
অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েলস ভ্রমণ:
২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে “ইসলামিক ইনফরমেশন এন্ড সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক অব অস্ট্রেলেশিয়া” শীর্ষক সেমিনারে জাকির নায়েক অংশ গ্রহণ করেন। তিনি সেখানে যুক্তি তুলে ধরেন যে, ইসলামই সবচেয়ে বেশী নারীদের সমতা প্রদান করেছে। তিনি আরও বলেন, পাশ্চাত্য পোশাকই নারীদের বেশী করে ধর্ষণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই সম্মেলনে তার কথাকে মুসলমান ও অমুসলমান সহ অনেক মানুষ স্বাগত জানালেও সুশী দাস নামক অমুসলমান এক মহিলা মন্তব্য করেন, ‘জাকির নায়েক ইসলামের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক বানী প্রচার করে সবার কাছে প্রশংসিত হচ্ছে। জাকির নায়েকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জাকির সবার থেকে বিচ্ছিন্ন একটি আত্মা এবং সে পরিপূর্ণ কুসংস্কারে প্রতিপালিত’। ২০০৬ সালের আগস্টে জাকির নায়েক যখন বিতর্কের জন্য কার্ডিফে আসেন তখন সেখানের শ্রোতারা তাকে মহান ব্যক্তি হিসেবে স্বাগত জানান কিন্তু ওয়ালসের এমপি ডেভিড ডেভিস বলেন এই বিতর্ক বাতিল করা হবে কারণ, মানুষের সামনে জাকির নায়েকের সাথে বিতর্ক করা সম্ভব নয় কারণ, সে একজন পাপী ব্যক্তি এবং মানুষদের মধ্যে ঘৃণা ছড়ায়। পরিশেষে সেখানে জাকির নায়েকের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। মুসলিম কাউন্সিল অব ওয়ালসের সেক্রেটারি সেলিম কেদাই ডেভিসের মন্তব্যের সাথে অসম্মতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন তার বিতর্ককে বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হয়নি কারণ, মানুষ জানে যে, তিনি অন্যতম একজন প্রসিদ্ধ বিতার্কিক এবং তিনি যা বলেন সঠিক বলেন। তিনি বিশ্বের প্রধান ধর্ম সমূহের মাঝে মিল খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। তারপরও ডেভিসকে ভবিষ্যতে ব্যক্তিগতভাবে কোন সম্মেলনে জাকির নায়েকের সাথে বিতর্ক করার জন্য আহবান করা হয়েছিল। পরে তাদের মধ্যে কার্ডিফে সম্মেলন হয়েছিল এবং ডেভিস জাকিরের উপর সন্তুষ্ট ছিল।
ব্রিটেন ও কানাডা থেকে বহিষ্কার:
ইংল্যান্ডে তার নাগরিকত্ব থাকলেও জুন ২০১০ সাল থেকে ইংল্যান্ড ও কানাডায় জাকির নায়েকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। লন্ডন ও শেফিল্ডে তার বক্তব্যের আয়োজন করা হলে ব্রিটেনের তৎকালিন স্বরাষ্ট্র সচিব তেরেসা মে তাকে ব্রিটেন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তেরেসা মে তার বহিষ্কারের আদেশে বলেন, ডা. নায়েকের বক্তব্য এবং তার আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। নায়েক বলেন স্বরাষ্ট্র সচিব রাজনৈতিকভাবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। নায়েকের আইনজীবী বলেন তেরেসার সিদ্ধান্ত ছিল অবৈধ ও সম্পূর্ণ অমানবিক। জাকির নায়েক সচিবের আদেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেজ্ঞ করেন, সুপ্রিম কোর্ট তার রিটটি খারিজ করে দেন ৫ নভেম্বর ২০১০ তারিখে। মুসলিম কানাডিয়ান কংগ্রেস জাকির নায়েককে আমন্ত্রণ জানালে কানাডা প্রবেশেও তাকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
ধর্মত্যাগীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি:
জাকির নায়েক বলেছেন, কেউ যদি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে অন্য ধর্মে যেতে চাই তবে সে স্বাধীন ভাবে যেতে পারে, তবে কেউ ইসলামে থেকে বা ইসলামে নতুন প্রবেশ করে যদি আল কুরআন, হাদীস বা ইসলামের বিপক্ষে অবস্থান নেয় তবে ইসলামী আইন অনুযায়ী তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
জৈব বিবর্তনে দৃষ্টিভঙ্গি:
জৈব বিবর্তন সম্পর্কে জাকির নায়েক বলেন, বিজ্ঞানীদের ধারনা অনুমান নির্ভর। কিন্তু আল কুরআনে জৈব বিবর্তন সম্পর্কে যে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে সেটা সত্য ও সঠিক। তিনি তার বক্তব্যের উপর আল কুরআন, বাইবেল, বেদ ও অন্যান্য ধর্ম গ্রন্থ থেকে অকাট্য প্রমাণ প্রদান করেছেন।
সন্ত্রাসবাদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি:
জাকির নায়েক বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদকে দারুণভাবে সমালোচনা করেছেন। তিনি ওসামা বিন লাদেন সম্পর্কে বলেন আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না এবং তার সাথে আমার কোনদিন সাক্ষাত হয়নি। তবে কোন মুসলমান রাষ্ট্র যদি ইসলামের শত্রুদের দ্বারা আক্রান্ত হয় আর তিনি যদি মুসলমানদের সাহায্য করতে ইসলামের শত্রুদের আক্রমণ করে থাকেন তবে আমি তাকে সমর্থন করি। তিনি বলেন বিন লাদেন যদি সন্ত্রাসী হয়ে থাকেন তবে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হচ্ছে আমেরিকা। তিনি বলেন ইসলামের কথা বললে যদি সন্ত্রাসী হতে হয় তবে সকল মুসলিমকে সন্ত্রাসী হওয়া উচিত। তিনি টাইমসের সাথে সাক্ষাতকারে বলেন, আমি সর্বদা সন্ত্রাসবাদকে ঘৃণা করি, কারণ আল কুরআনে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে “যদি তুমি একজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করো তবে তুমি সমগ্র মানবতাকে হত্যা করলে”। ২০১০ সালে তিনি বলেন, বর্তমানে সকল মুসলমানকেই সন্ত্রাসী বলা হয় কিন্তু সন্ত্রাসীর সংজ্ঞা অনুযায়ী তাদেরই সন্ত্রাসী বলা হয় যারা বিনা দোষে নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। ইসলামের কথা বললে বা ইসলামকে বিশ্বব্যাপী বিজয়ী করতে গেলে যদি সন্ত্রাসী হতে হয় তবে সকল মুসলমানকে সন্ত্রাসী হওয়া উচিত। তবে একথা ঠিক ইসলামকে বিজয়ী করতে গিয়ে একজন সাধারণ মানুষকেও কষ্ট দেওয়া যাবে না। ৩১ জুলাই ২০০৮ তারিখে পিস টিভিতে বক্তৃতা দেওয়ার সময় জাকির নায়েক ১১ সেপ্টেম্বরের হামলা সম্পর্কে বলেন, টুইন টাওয়ারে হামলা সম্পর্কে একটি গোপন তথ্য রয়েছে। আর সেটি হচ্ছে ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে জর্জ ডব্লিউ বুশ নিজেই হামলা করেছিল। আমেরিকার এই হামলার পিছনে কারণ ছিল ব্শ্বি মুসলমানদের সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে তাদের মাঝে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এবং মুসলিম রাষ্ট্র সমূহে হামলা করে তাদের সম্পদকে করায়ত্ত করা।
তার লেখা:
২০০৭ সালে সৌদি আরবের দার-উস-সালাম পাবলিকেশন্স জাকির আব্দুল করিম নায়েকের দুটি বই প্রকাশনা করে। যার নাম ছিল, “দি কনসেপ্ট অব গড ইন মেজর রিলেজিউন” এবং “দি কুরআন এন্ড মর্ডান সায়েন্স: কম্প্যাটিবল অর ইনকমপেটিবল”।
পরিশেষ:
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ২০১০ সালের শ্রেষ্ঠ ১০০ ক্ষমতাশালী ব্যক্তির তালিকায় জাকির নায়েক ৮৯ তম স্থান লাভ করেন। ২০০৯ সালের সংস্করণে তার অবস্থান ছিল ৮২ তম। প্রভীন স্বামীর মতে জাকির নায়েক সম্ভবত ভারতের সালাফি ভাবাদর্শের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি। সঞ্চিব বাট্ট বলেন, ইসলামের সত্যতা প্রকাশে তিনি অনন্য ব্যক্তি তবে তিনি অন্য ধর্মের প্রতি নেতিবাচক মন্তব্য করে থাকেন। জাকির নায়েক বিশ্বব্যাপী ইসলামের দাওয়াত প্রদান করে চলেছেন। তার স্বপ্ন একদিন ইসলাম আবার মোহাম্মদ (সাঃ) এর সময়ের মতো বিশ্বব্যাপী বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। ইসলামের দাওয়াত প্রদানের ক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। তারপরও তিনি সাহসের সাথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তার অভিযান। বিশ্বব্যাপী ইসলাম বিদ্বেষী শক্তি তার পথ রুদ্ধ করার জন্য শক্তি প্রয়োগ করে যাচ্ছে। এমনকি মুসলমান নাম ধারী অনেক মুরতাদ তার বিরুদ্ধে ইসলামের শত্রু, মৌলবাদী, সন্ত্রাসী, পাপী ইত্যাদি কুৎসা রটাচ্ছে। তবে প্রকৃত মুসলমানরা যদি তার সাথে থাকে তবে মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের দয়ায় হয়তো একদিন তিনি তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখতে পাবেন। ইনশা আল্লাহ, আল্লাহ আলাম।

Tuesday, September 11, 2018

অসাধারন একটি হাদিস


কাওরো জন্য দোয়া করলে সেটা নিজের জন্য হবে।

আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
.
.
নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেন, “কোন ব্যক্তি তার অপর ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে দুআ’ করলে তা কবুল হয়। তার মাথার নিকট একজন ফেরেশতা তার দুআ’র সময় আমীন বলতে থাকেন। যখনই সে তার কল্যাণ কামনা করে দুআ’ করে, তখন ফেরেশতা বলেন, আমীন, তোমার জন্যও অনুরূপ কল্যাণ।”
.
.
[ আবু দাউদ, হা/১৫৩৪ ; ইবনে মাজাহ, হা/২৮৯৫ ]
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂

মুর্তি পুজা নিষেদ তাদের কিতাবেই।।

আপনি কি জানেন?! হিন্দুধর্ম গ্রন্থে মুর্তিপূজা নিষেধ থাকার পর ও হিন্দুরা মুর্তিপূজা করে!!

-
হিন্দুধর্মগ্রন্থে মুর্তিপূজা নিষেধ হওয়ার দলিল...
*"সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কোন প্রতিমা নেই, কোন প্রতিমূর্তি নেই, কোন প্রতিকৃতি নেই, কোন রূপক নেই, কোন ফটোগ্রাফ নেই, তার কোন ভাস্কর্য নেই। "
[শ্বেতাসএ উপনিষধ, অধ্যায় :৪, পরিচ্ছেদ:১৯; যযুর্বেদ, অধ্যায় :৩২, পরিচ্ছেদ:৩]
.
*"যেসব লোক যাদের বিচারবুদ্ধি কেড়ে নিয়েছে জাগতিক আকাংখা, তারাই মুর্তিপূজা করে।"
[ভগবাদগিতা, অধ্যায় :৭, অনুচ্ছেদ :২০]
.
*"সত্য একটাই ঈশ্বর একজনই, তার কোন মূর্তি নেই। "
[ঋগবেদ, গ্রন্থ:১, পরিচ্ছেদ:১৬৪, অনুচ্ছেদ :৪৬; যযুর্বেদ, অধ্যায় :৪০, অনুচ্ছেদ :৮,৯]
.
এমনকি ঋগবেদে কঠোরভাবে মুর্তিপূজার বিরোধীতা করার পাশাপাশি ঈশ্বরের অন্য নাম আল্লাহ দেওয়া আছে।
.
ঋগবেদে 'ঈশ্বরের অন্য নাম আল্লাহ দেওয়া আছে'
[ঋগবেদ, গ্রন্থ:২, পরিচ্ছেদ:১, অনুচ্ছেদ :১১: ঋগবেদ, গ্রন্থ:৩, পরিচ্ছেদ:৩০, অনুচ্ছেদ :১০; ঋগবেদ, গ্রন্থ:৯, পরিচ্ছেদ:৬৭, অনুচ্ছেদ :৩০]
.
সুতারং হিন্দুধর্মে কঠোরভাবে মুর্তিপূজা নিষেধ জানার পর ও যেসব ভাইয়েরা এখন থেকে মুর্তিপূজা করবে, তারা প্রকৃতভাবেই তাদের নিজেদের হিন্দুধর্ম গ্রন্থের বিরোধীতা করছে এবং কাল্পনিক মনগড়া ভাবে ধর্ম (জাহান্নাম) পালন করতেছে!!
.
আপনার হিন্দু ভাই/বন্ধুদের এই বিষয়টা জানার সুযোগ করে দিন

Monday, September 10, 2018

আপনার মেয়ের নাম কি রাখবেন আরবিতে জেনে নিন আর্থসহ

মেয়েদের কিছু ইসলামিক নাম অর্থ সহ।

............................................................
রায়হানা = সুগন্ধি ফুল।
রাফিয়া = উন্নত।
পারভীন = দিপ্তিময় তারা।
নূসরাত = সাহায্য।
নিশাত = আনন্দ।
নাজীফা = পবিত্র।
নাইমাহ = সুখি জীবনযাপনকারীনী।
নাফিসা = মূল্যবান।
মুরশীদা = পথর্শিকা।
মাসূমা = নিষ্পাপ।
মাসূদা = সৌভাগ্যবতী।
মাহফুজা = নিরাপদ
আসিয়া অর্থ শান্তি স্থাপনকারী।
আশরাফী অর্থ সম্মানিত।আমিনা অর্থ নিরাপদ।আনিসা
অর্থ কুমারী।
আনিফা অর্থ রূপসী।
আনওয়ার অর্থ জ্যোতিকাল।
আরিফা অর্থ প্রবল বাতাস।
আয়িশা অর্থ জীবন যাপন কারিণয়
আমীনা অর্থ » আমানত রক্ষাকারণী।
আসমা অর্থ » নামসমূহ।
আফরোজা অর্থ » জ্ঞানী।
আয়মান অর্থ » শুভ।
আমীরাতুন নিসা অর্থ » নারীজাতির নেত্রী।
আকলিমা অর্থ » দেশ।
ইসমাত আফিয়া অর্থ » পূর্ণবতী।
কামরুন অর্থ » ভাগ্য
রীমা অর্থ => সাদা হরিণ।
সুফিয়া অর্থ => আধ্যাত্মিক সাধনাকারী।
সায়িমা অর্থ => রোজাদার।
শাহানা অর্থ => রাজকুমারী।
শাকিলা অর্থ => রূপবর্তী।
শাফিয়া অর্থ => মধ্যস্থতাকারিনী।
সাজেদা অর্থ => ধার্মিক।
সাদীয়া অর্থ => সৌভাগ্যবর্তী!
সালমা অর্থ => প্রশন্ত।
শিরিন অর্থ => আনন্দকর।
তাসনিয়া = প্রসংসা।
তাসনিম অর্থ => বেহশতী ঝর্ণা।
তানজীম অর্থ > সুবিনাসত
মাহফুজা অর্থ > নিরাপদ
আয়েশা অর্থ > সমৃদ্ধিশালী
ফারহানা অর্থ > প্রান চঞ্চল
ফরিদা অর্থ > অনুপমা
ফারিহা অর্থ >সুখী
হুমায়রা অর্থ= রূপসী
লাবীবা অর্থ= জ্ঞানী
ফারিহা অর্থ= সুখী
ফাহমিদা অর্থ= বুদ্ধিমতী
মাহবুবা অর্থ= প্রেমপাত্রী
নার্গিস অর্থ= ফুলের নাম
তামান্না অর্থ= ইচ্ছা-আখাংকা
শিরিন অর্থ= আনন্দকর
আফিফা অর্থ= সাধ্বী
তাহমিনা অর্থ= মূল্যবান
সাদিয়া অর্থ= সৌভাগ্যবতী।
জাবিরা-রাজিহওয়া।
জাদিদাহ-নতুন।
জাদওয়াহ-উপহার।
জাহান-পৃথিবী।
জালসান-বাগান।
জমিমা-ভাগ্য।
জামিলা-সুন্দরী।
আফিয়া»অর্থ»»পূণ্যবর্তী।
হামিদা»অর্থ»» প্রশংসাকারিনী।
ফারজানা»অর্থ»» বিদুষী।
ফাহমিদা»অর্থ»» বুদ্ধিমতী।
বিলকিস»অর্থ»» রানী।
আমিনা»অর্থ»» বিশ্বাসী।
আয়েশা»অর্থ»» সমৃদ্ধিশালী।
আনজুম»অর্থ»» তারা।
আনতারা»অর্থ»» বীরাঈনা।
আকিলা»অর্থ»» বুদ্ধিমতি।
মাজেদা»অর্থ»» মহতি।
সাদীয়া - সৌভাগ্যবতী
সাগরিকা - তরঙ্গ
সহেলী - বান্ধবী
সাহিরা - পর্বত
সাইদা - নদী
সায়িমা - রোজাদার
সাজেদা - ধার্মিক
সালীমা - সুস্থ
সালমা - প্রশান্ত
সালমা আফিয়া - প্রশান্ত পূণ্যবতী
সালমা আনিকা - প্রশান্ত সুন্দরী
সালমা আনজুম - প্রশান্ত তারা
সালমা ফারিহা - প্রশান্ত সুখী
সালমা ফাওজিয়া - প্রশান্ত সফল
সালমা মাহফুজা - প্রশান্ত নিরাপদ
তাহিয়া অর্থ অভিবাদন,
ফারযানা অর্থ কৌশলী,
ফিরোজা অর্থ উজ্জ্বল,
শামীমা অর্থ খুশবু,
আফিফা অর্থ সতী নারী,
দিলরুবা অর্থ প্রিয়তমা,
ফারহানা অর্থ প্রফুল্লতা।
নওশীন অর্থ মিষ্টি,
দিলরুবা অর্থ প্রেমিকা,
নিশাত অর্থ আনন্দ,
নুসরাত অর্থ সাহায্য,
তূবা অর্থ সুসংবাদ,
জুলফা অর্থ বাগান,
যীনাত অর্থ সৌন্দর্য,
ঈশাত অর্থ বসবাস,
রওশন অর্থ উজ্জ্বল,
জেবা অর্থ যথার্থ।.
শিরিন >অর্থ> আনন্দকর।
শাবানা >অর্থ> রাত্রিমধ্যে।
তাসনিয়া >অর্থ>প্রশংসা।
তাহমিনা >অর্থ> মূল্যবান।
আতিকা >অর্থ> সুন্দরী।
রহিমা >অর্থ> দয়ালু।
আসমা >অর্থ> অতুলনীয়।
ফরিদা >অর্থ> অনুপমা।
আনিকা >অর্থ> সুন্দরী।
আয়েশা >অর্থ> সমৃদ্ধিশীল।
আমিনা >অর্থ> বিশ্বাসী।
দীনা >অর্থ> বিশ্বাসী।
হাসিনা >অর্থ> সুন্দরী।
লায়লা >অর্থ> শ্যামলা।
মুমতাজ >অর্থ> মনোনীত।
মায়মুনা >অর্থ> ভাগ্যবতী।
রশীদা >অর্থ> বিদূষী।
রামিসা >অর্থ> নিরাপদ।
সামিয়া »অর্থ» রোজাদার।
রওশান »অর্থ» উজ্জ্বল।
রাওনাফ »অর্থ» সৌন্দর্য।
শাহানা »অর্থ» রাজকুমারী।
রোশনী »অর্থ» আলো।
রুমালী »অর্থ» কবুতর।
রীমা »অর্থ» সাদা হরিণ।
রুম্মন »অর্থ» ডালিম।
সাবিহা »অর্থ» রূপসী।
শাকিলা »অর্থ» রূপবতী।
শাফিয়া »অর্থ» মধ্যস্থতাকারিণী।
সাকেরা »অর্থ»কৃতজ্ঞ।
সাজেদা »অর্থ» ধার্মিক।
সাইদা »অর্থ» নদী।রা।
নূসরাত = সাহায্য।
নিশাত = আনন্দ।
নাজীফা = পবিত্র।
নাইমাহ = সুখি জীবনযাপনকারীনী।
নাফিসা = মূল্যবান।
মুরশীদা = পথর্শিকা।
মাসূমা = নিষ্পাপ।
মাসূদা = সৌভাগ্যবতী।
মাহফুজা = নিরাপদ
আসিয়া অর্থ শান্তি স্থাপনকারী।
আশরাফী অর্থ সম্মানিত।
আমিনা অর্থ নিরাপদ।
আনিসা অর্থ কুমারী।
আনিফা অর্থ রূপসী।
আনওয়ার অর্থ জ্যোতিকাল।
আরিফা অর্থ প্রবল বাতাস।
আয়িশা অর্থ জীবন যাপন কারিণয়
আমীনা অর্থ » আমানত রক্ষাকারণী।
আসমা অর্থ » নামসমূহ।
আফরোজা অর্থ » জ্ঞানী।
আয়মান অর্থ » শুভ।
আমীরাতুন নিসা অর্থ » নারীজাতির নেত্রী।
আকলিমা অর্থ » দেশ।
ইসমাত আফিয়া অর্থ » পূর্ণবতী।
কামরুন অর্থ » ভাগ্য
রীমা অর্থ => সাদা হরিণ।
সুফিয়া অর্থ => আধ্যাত্মিক সাধনাকারী।
সায়িমা অর্থ => রোজাদার।
শাহানা অর্থ => রাজকুমারী।
শাকিলা অর্থ => রূপবর্তী।
শাফিয়া অর্থ => মধ্যস্থতাকারিনী।
সাজেদা অর্থ => ধার্মিক।
সাদীয়া অর্থ => সৌভাগ্যবর্তী!
সালমা অর্থ => প্রশন্ত।
শিরিন অর্থ => আনন্দকর।
তাসনিয়া প্রসংসা।
তাসনিম অর্থ => বেহশতী ঝর্ণা।
তানজীম অর্থ > সুবিনাসতমেয়েদের সুন্দর কিছু ইসলামিক নাম এবং এর
অর্থঃ
রায়হানা = সুগন্ধি ফুল।
রাফিয়া = উন্নত।
পারভীন = দিপ্তিময় তারা।
নূসরাত = সাহায্য।
নিশাত = আনন্দ।
নাজীফা = পবিত্র।
নাইমাহ = সুখি জীবনযাপনকারীনী।
নাফিসা = মূল্যবান।
মুরশীদা = পথর্শিকা।
মাসূমা = নিষ্পাপ।
মাসূদা = সৌভাগ্যবতী।
মাহফুজা = নিরাপদ
আসিয়া অর্থ শান্তি স্থাপনকারী।
আশরাফী অর্থ সম্মানিত।আমিনা অর্থ
নিরাপদ।
আনিসা অর্থ কুমারী।
°আনিফা অর্থ রূপসী।
°আনওয়ার অর্থ জ্যোতিকাল।
°আরিফা অর্থ প্রবল বাতাস।
°আয়িশা অর্থ জীবন যাপন কারিণয়
€আমীনা অর্থ » আমানত রক্ষাকারণী।
€আসমা অর্থ » নামসমূহ।
€আফরোজা অর্থ » জ্ঞানী।
€আয়মান অর্থ » শুভ।
€আমীরাতুন নিসা অর্থ » নারীজাতির
নেত্রী।
€আকলিমা অর্থ » দেশ।
€ইসমাত আফিয়া অর্থ » পূর্ণবতী।
€কামরুন অর্থ » ভাগ্য
রীমা অর্থ => সাদা হরিণ।
সুফিয়া অর্থ => আধ্যাত্মিক সাধনাকারী।
সায়িমা অর্থ => রোজাদার।
শাহানা অর্থ => রাজকুমারী।
শাকিলা অর্থ => রূপবর্তী।
শাফিয়া অর্থ => মধ্যস্থতাকারিনী।
সাজেদা অর্থ => ধার্মিক।
সাদীয়া অর্থ => সৌভাগ্যবর্তী!
সালমা অর্থ => প্রশন্ত।
শিরিন অর্থ => আনন্দকর।
তাসনিয়া = প্রসংসা।
তাসনিম অর্থ => বেহশতী ঝর্ণা।
তানজীম অর্থ > সুবিনাসত
মাহফুজা অর্থ > নিরাপদ
আয়েশা অর্থ > সমৃদ্ধিশালী
ফারহানা অর্থ > প্রান চঞ্চল
ফরিদা অর্থ > অনুপমা
ফারিহা অর্থ >সুখী
হুমায়রা অর্থ= রূপসী
লাবীবা অর্থ= জ্ঞানী
ফারিহা অর্থ= সুখী
ফাহমিদা অর্থ= বুদ্ধিমতী
মাহবুবা অর্থ= প্রেমপাত্রী
নার্গিস অর্থ= ফুলের নাম
তামান্না অর্থ= ইচ্ছা-আখাংকা
শিরিন অর্থ= আনন্দকর
আফিফা অর্থ= সাধ্বী
তাহমিনা অর্থ= মূল্যবান
সাদিয়া অর্থ= সৌভাগ্যবতী।
জাবিরা-রাজিহওয়া।
জাদিদাহ-নতুন।
জাদওয়াহ-উপহার।
জাহান-পৃথিবী।
জালসান-বাগান।
জমিমা-ভাগ্য।
জামিলা-সুন্দরী।
আফিয়া»অর্থ»»পূণ্যবর্তী।
হামিদা»অর্থ»» প্রশংসাকারিনী।
ফারজানা»অর্থ»» বিদুষী।
ফাহমিদা»অর্থ»» বুদ্ধিমতী।
বিলকিস»অর্থ»» রানী।
আমিনা»অর্থ»» বিশ্বাসী।
আয়েশা»অর্থ»» সমৃদ্ধিশালী।
আনজুম»অর্থ»» তারা।
আনতারা»অর্থ»» বীরাঈনা।
আকিলা»অর্থ»» বুদ্ধিমতি।
মাজেদা»অর্থ»» মহতি।
সাদীয়া - সৌভাগ্যবতী
সাগরিকা - তরঙ্গ
সহেলী - বান্ধবী
সাহিরা - পর্বত
সাইদা - নদী
সায়িমা - রোজাদার
সাজেদা - ধার্মিক
সালীমা - সুস্থ
সালমা - প্রশান্ত
সালমা আফিয়া - প্রশান্ত পূণ্যবতী
সালমা আনিকা - প্রশান্ত সুন্দরী
সালমা আনজুম - প্রশান্ত তারা
সালমা ফারিহা - প্রশান্ত সুখী
সালমা ফাওজিয়া - প্রশান্ত সফল
সালমা মাহফুজা - প্রশান্ত নিরাপদ
:- তাহিয়া অর্থ অভিবাদন,
:- ফারযানা অর্থ কৌশলী,
:- ফিরোজা অর্থ উজ্জ্বল,
:- শামীমা অর্থ খুশবু,
:- আফিফা অর্থ সতী নারী,
:- দিলরুবা অর্থ প্রিয়তমা,
:- ফারহানা অর্থ প্রফুল্লতা।
:-নওশীন অর্থ মিষ্টি,
:-দিলরুবা অর্থ প্রেমিকা,
:-নিশাত অর্থ আনন্দ,
:-নুসরাত অর্থ সাহায্য,
:-তূবা অর্থ সুসংবাদ,
:-জুলফা অর্থ বাগান,
:-যীনাত অর্থ সৌন্দর্য,
:-ঈশাত অর্থ বসবাস,
:-রওশন অর্থ উজ্জ্বল,
:-জেবা অর্থ যথার্থ।
.
শিরিন >অর্থ> আনন্দকর।
শাবানা >অর্থ> রাত্রিমধ্যে।
তাসনিয়া >অর্থ>প্রশংসা।
তাহমিনা >অর্থ> মূল্যবান।
আতিকা >অর্থ> সুন্দরী।
রহিমা >অর্থ> দয়ালু।
আসমা >অর্থ> অতুলনীয়।
ফরিদা >অর্থ> অনুপমা।
আনিকা >অর্থ> সুন্দরী।
আয়েশা >অর্থ> সমৃদ্ধিশীল।
আমিনা >অর্থ> বিশ্বাসী।
দীনা >অর্থ> বিশ্বাসী।
হাসিনা >অর্থ> সুন্দরী।
লায়লা >অর্থ> শ্যামলা।
মুমতাজ >অর্থ> মনোনীত।
মায়মুনা >অর্থ> ভাগ্যবতী।
রশীদা >অর্থ> বিদূষী।
রামিসা >অর্থ> নিরাপদ।
সামিয়া »অর্থ» রোজাদার।
রওশান »অর্থ» উজ্জ্বল।
রাওনাফ »অর্থ» সৌন্দর্য।
শাহানা »অর্থ» রাজকুমারী।
রোশনী »অর্থ» আলো।
রুমালী »অর্থ» কবুতর।
রীমা »অর্থ» সাদা হরিণ।
রুম্মন »অর্থ» ডালিম।
সাবিহা »অর্থ» রূপসী।
শাকিলা »অর্থ» রূপবতী।
শাফিয়া »অর্থ» মধ্যস্থতাকারিণী।
সাকেরা »অর্থ»কৃতজ্ঞ।
সাজেদা »অর্থ» ধার্মিক।
সাইদা »অর্থ» নদী।রা।
নূসরাত = সাহায্য।
নিশাত = আনন্দ।
নাজীফা = পবিত্র।
নাইমাহ = সুখি জীবনযাপনকারীনী।
নাফিসা = মূল্যবান।
মুরশীদা = পথর্শিকা।
মাসূমা = নিষ্পাপ।
মাসূদা = সৌভাগ্যবতী।
মাহফুজা = নিরাপদ
°আসিয়া অর্থ শান্তি স্থাপনকারী।
°আশরাফী অর্থ সম্মানিত।
°আমিনা অর্থ নিরাপদ।
°আনিসা অর্থ কুমারী।
°আনিফা অর্থ রূপসী।
°আনওয়ার অর্থ জ্যোতিকাল।
°আরিফা অর্থ প্রবল বাতাস।
°আয়িশা অর্থ জীবন যাপন কারিণয়
€আমীনা অর্থ » আমানত রক্ষাকারণী।
€আসমা অর্থ » নামসমূহ।
€আফরোজা অর্থ » জ্ঞানী।
€আয়মান অর্থ » শুভ।
€আমীরাতুন নিসা অর্থ » নারীজাতির
নেত্রী।
€আকলিমা অর্থ » দেশ।
€ইসমাত আফিয়া অর্থ » পূর্ণবতী।
€কামরুন অর্থ » ভাগ্য
রীমা অর্থ => সাদা হরিণ।
সুফিয়া অর্থ => আধ্যাত্মিক সাধনাকারী।
সায়িমা অর্থ => রোজাদার।
শাহানা অর্থ => রাজকুমারী।
শাকিলা অর্থ => রূপবর্তী।
শাফিয়া অর্থ => মধ্যস্থতাকারিনী।
সাজেদা অর্থ => ধার্মিক।
সাদীয়া অর্থ => সৌভাগ্যবর্তী♥♥মেয়েদের ইসলামিক ৫৯ টি নাম। এর মধ্যে আপনার পছন্দের নাম কোনটি?????
১.আফরা=অর্থ =সাদা
২.সাইয়ারা=অর্থ =তারকা
৩.আফিয়া =অর্থ =পুণ্যবতী
৪.মাহমুদা =অর্থ =প্রশংসিতা
৫.রায়হানা =অর্থ =সুগন্ধি ফুল
৬.রাশীদা =অর্থ =বিদুষী
৭.রামিসা =অর্থ =নিরাপদ
৮.রাইসা =অর্থ = রাণী
৯.রাফিয়া=অর্থ = উন্নত
১০.নুসরাত =অর্থ = সাহায্য
১১.নিশাত =অর্থ =আনন্দ
১২.নাঈমাহ =অর্থ =সুখি জীবন যাপনকারীনী
১৩.নাফীসা =অর্থ =মূল্যবান
১৪.মাসূমা =অর্থ =নিষ্পাপ
১৫.মালিহা =অর্থ =রুপসী
১৬.হাসিনা =অর্থ =সুন্দরি
১৭.হাবীবা =অর্থ =প্রিয়া
১৮.ফারিহা =অর্থ =সুখি
১৯.দীবা =অর্থ = সোনালী
২০.বিলকিস =অর্থ =রাণী
২১.আনিকা =অর্থ =রুপসী
২২.তাবিয়া =অর্থ =অনুগত
২৩.তাবাসসুম =অর্থ = মুসকি হাসি
২৪.তাসনিয়া =অর্থ = প্রশংসিত
২৫.তাহসীনা =অর্থ = উত্তম
২৬.তাহিয়্যাহ =অর্থ = শুভেচ্ছা
২৭.তোহফা =অর্থ = উপহার
২৮.তাখমীনা =অর্থ = অনুমান
২৯.তাযকিয়া =অর্থ = পবিত্রতা
৩০.তাসলিমা =অর্থ = সর্ম্পণ
৩১.তাসমিয়া =অর্থ = নামকরণ
৩২.তাসনীম =অর্থ = বেহেশতের ঝর্ণা
৩৩.তাসফিয়া =অর্থ = পবিত্রতা
৩৪.তাসকীনা =অর্থ = সান্ত্বনা
৩৫.তাসমীম =অর্থ = দৃঢ়তা
৩৬.তাশবীহ =অর্থ = উপমা
৩৭.তাকিয়া শুদ্ধ চরিত্র
৩৮.তাকমিলা =অর্থ = পরিপূর্ণ
৩৯.তামান্না =অর্থ = ইচ্ছা
৪০.তামজীদা =অর্থ = মহিমা কীর্তন
৪১.তাহযীব =অর্থ = সভ্যতা
৪২.তাওবা =অর্থ = অনুতাপ
৪৩.তানজীম =অর্থ = সুবিন্যস্ত
৪৪.তাহিরা =অর্থ = পবিত্র
৪৫.তবিয়া =অর্থ = প্রকৃতি
৪৬.তরিকা =অর্থ = রিতি-নীতি
৪৭.তাইয়্যিবা =অর্থ = পবিত্র
৪৮.তহুরা =অর্থ = পবিত্রা
৪৯.তুরফা =অর্থ = বিরল বস্তু
৫০.তাহামিনা =অর্থ = মূল্যবান
৫১.তাহমিনা =অর্থ = বিরত থাকা
৫২.তানমীর ক্রোধ প্রকাশ করা
৫৩.ফরিদা =অর্থ = অনুপম
৫৪.ফাতেহা =অর্থ = আরম্ভ
৫৫.ফাজেলা =অর্থ = বিদুষী
৫৬.ফাতেমা =অর্থ = নিষ্পাপ
৫৭.ফারাহ =অর্থ = আনন্দ
৫৮.ফারহানা =অর্থ = আনন্দিতা
৫৯.ফারহাত =অর্থ = আনন্দমেয়েদের কিছু ইসলামিক সুন্দর নাম----
.
আয়েশা অর্থ = সমৃদ্ধিশালী,
হুমায়রা অর্থ= রূপসী
লাবীবা অর্থ= জ্ঞানী
ফারিহা অর্থ= সুখী
ফাহমিদা অর্থ= বুদ্ধিমতী
আফিফা অর্থ= সাধ্বী
তাহমিনা অর্থ= মূল্যবান
সাদিয়া অর্থ= সৌভাগ্যবতী,
আয়মান অর্থ =শুভ,
রীমা অর্থ =সাদা হরিণ।
সুফিয়া অর্থ = আধ্যাত্মিক সাধনাকারী।
সায়িমা অর্থ =রোজাদার।
মীম= একটি আরবী হরফ।
-------------------

তাবলিগ জামাতের ফাজাইলে আমল সম্পর্কে গুরুত্বপুর্ন আলোচনা

হে বাংলাদেশের মুসলিম ভাই ও বোনেরা। আপনারা সবাই জানেন চক চক করেলেই সেটা সোনা হয় না,,, সোনাকেই কিনতে গেলেই আমাদেরকে সেটা  নানান ভাবে  পরিক্ষা করতে হয়, কারন এটা অনেক দামি একটা সম্পদ। শুধু এটা নয়  আমরা মানুষরা সব কাজেই কম বেশ যাচাই বাচাই করে সব কিছু কিনে থাকি। এবং সব কিছু নিয়ে তদন্ত করে থাকি।কোন কিছু কিনার ক্ষেত্রে ভুল করলেই আফসোস এর শেষ নাই। কিন্তু ধর্মের কাজে আমরা তদন্ত করি না।  শুধু ধর্মের জায়গায় যা পাই সেটাকে ধর্ম মনে করি। এর কারন হচ্ছে আমরা সবাই ধর্মের কারিগর দেখাটা বেশি প্রয়োজন  মনে করি না।  যে ধর্ম নিয়ে কথা বলে তাকেই আমরা অন্ধ ভাবে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা করে থাকি।এটা দোষের কিছু নয়, কিন্তু দোষ হচ্ছে সব কিছু ত আর ধর্ম নয়। তাই যাচাই বাচাই করে আমল করাটা জুরুরী।  কিন্তু এটা জানি না যে, সব কিছুর যেমন ভাল কারিগর থাকা জুরুরী তেমনি করে ধর্মের জন্য ভালো কারিগর থাকা জুরুরী। আমল কম করেন, কিন্তু যা করবেন সেটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অনুমোধন আছে কিনা সেটা চিন্তা করাটা খুব বেশি জুরুরী। 
এই জন্য  আল্লাহ কোরানে বলেছেন, হে দুনিয়ার অজানা মানুষ- তোমরা যারা জানো না, তোমরা জানা মানুষের নিটক জেনে নাও প্রমান সহকারে, তাহলে বুঝা যাচ্ছে আমাদেরকে ধর্মের জ্ঞান নিতে হবে যারা কোরান ও হাদিসের পন্ডিত তাদের কাছ থেকে। কিন্তু যখনি আমরা এই বিষয়টি জানা মানুষদের থেকে না নিবো তখনি আমরা ভুল করে থাকবো। । যাই হোক আপনাদের জন্য উপদেশ হচ্ছে, আপনারা নিজেরাও তদন্ত করে দেখুন ও জানুন ও বুঝুন। উপদেশ- কোরান ও সুন্নাহর আলোকে জীবন গড়ুন। দ্বীন মোহাম্মাদ। 
আসুন কিছু বিষয় জেনে নিন এবং আপনি আপনার মসজিদে যে ফাজায়েল আছে তার সাথে মিলিয়ে দেখুন। 
জিকিরে খফি যাহা ফেরেস্তারাও শুনিতে পায় না , তাহা সত্তর গুণ বর্ধিত হইয়া যায় – ফাজায়েলে আমাল !
আজ লিখবো এমন একটি গ্রন্থের ভুল সম্পর্কে যেটা মুসলিম বিশ্বে পবিত্র কুরআনের পরে সর্বাধিক পঠিত অবশ্য আরবদেশগুলোতে তা পড়া হয় না । সেটা হলো ফাজায়েলে আমাল । আমাদের দেশে মসজিদ আছে অথচ ফাজায়েলে আমাল নেই , এমন মসজিদ হয়তো খুব বেশী পাওয়া যাবে না । সুতরাং পড়ুন , বুঝুন এবং ভাবুন – আমরা কোন পথে ?
“আম্মাজান আয়েশা (রাঃ) হুজুরেপাক (সাঃ) এর এরশাদ বর্ণনা করিয়াছেন যে , জিকিরে খফি যাহা ফেরেস্তারাও শুনিতে পায় না , তাহা সত্তর গুণ বর্ধিত হইয়া যায় । কেয়ামতের দিবস সমস্ত হিসাব নিকাশ যখন শেষ হইয়া যাইবে তখন আল্লাহ পাক বলিবেন , অমুক বান্দার কোন আমল বাঁকী রহিয়াছে কি ? তখন কেরামান কাতেবীন বলিবেন , আমাদের লিখিত সমস্ত আমলই আমরা পেশ করিয়াছি । তখন আল্লাহ তায়ালা বলিবেন , আমার নিকট তাহার এমন আমল রহিয়াছে যাহা তোমাদের জানা নাই । উহা হইল “জিকিরে খফি” অন্য রেওয়ায়েতে আছে , যেই জিকির ফেরেস্তাগণ শুনিতে পায় না উহা জিকিরে জলির উপর সত্তর গুণ বেশী ফজীলত রাখে” ।
কবি বলিলেন , অর্থাৎ “প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে এমন সব রহস্য রহিয়াছে যাহা ফেরেস্তাগণও জানিতে পারে না” (ফাজায়েলে আমাল , ফাজায়েলে জিকির অধ্যায় , ৩০৫পৃঃ)
লক্ষ্য করুন কবিতায় যে প্রেমিক-প্রেমিকার কথা বলা হয়েছে , তা আল্লাহর শানে ব্যবহৃত হইতে পারে না , কারন আল্লাহ পুরুষ নন এবং স্ত্রীও নন । তিনি প্রেমিক /প্রেমিকা হবেন কিভাবে ? আল্লাহর শানে স্ত্রী বা পুংলিঙ্গ সূচক শব্দ ব্যবহার কি অজ্ঞতা ও বাতিল আক্বীদার বহিঃপ্রকাশ নয় ? আল্লাহর সঙ্গে বান্দার মুহাব্বাত হতে পারে , কিন্তু ইশক হতে পারে না । কারন ইশকের মধ্যে পাগলামী আছে যা সৃষ্টি বা মাখলুকের সঙ্গে চলে । খালিক অর্থাৎ স্রষ্টার সাথে ইশক চলে না ।
অতঃপর আল্লাহ তায়ালা কিরামান কাতিবীন (সম্মানিত লেখকদ্বয়) সম্পর্কে কুরআন কারীমে বলেছেন :
“আর অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত রয়েছে । কিরামান কাতিবীন (সম্মানিত লেখকদ্বয়) ।‘তারা সব জানেন তোমরা যা করছো” । – সূরা ইনফিতার : ১০-১২ ।
আয়াতটি ভাল করে পড়ুন এবং বুঝুন । এখানে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে , বান্দা যে সব ‘আমল করে কিরামান কাতিবীন ফেরেস্তাদ্বয় তা সবই জানেন । আর লিখক সনদবিহীন হাদীস আর কবিতা বর্ণনার ভিত্তিতে বলেছেন ‘জিকিরে খফি’ নাকি ফেরেস্তারা জানে না ।
সূরা কাহাফ আয়াত ৪৯-এ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন :“আর তারা বলবে , আফসোস (আমাদের জন্য দুর্ভগ্য) এটা কেমন আমলনামা এতে ছোট (খফি) বড় কোন গুনাহই লিপিবদ্ধ করা ব্যতীত ছেড়ে দেয়া হয়নি ? যা কিছু তারা করেছে , তার সব কিছুই তারা লিখিত আকারে উপস্থিত পাবে । আপনার রব , কারো উপর যুলুম করেন না (করবেন না )”
পড়ুন এবং বুঝুন – বান্দাগণ স্বীকার করবে যে , তাদের আমলনামা ছোট-বড় কিছুই বাদ পড়েনি , সবই তাতে আছে ।
আরও একটি আয়াত দেখুন । সূরা বনী-ইসরাঈল : ১৪ আয়াতে আল্লাহ বলেন : পড় তোমার কিতাব (আমলনামা) । আজ তোমার হিসাব গ্রহণের জন্য তুমি নিজেই যথেষ্ট ।
এই আয়াতের বর্ণনামতে যদি একজন ব্যক্তি তার আমলনামার ভিত্তিতেই নিজের হিসাব করতে পারে যে সে জান্নাতী নাকি জাহান্নামী । তাহলে বলুন একজনের কিছু নেক আমল যদি আমলনামার বাহিরে থেকে যায় তাহলে সে কি তার হিসাব গ্রহণের জন্য যথেষ্ট হবে ?
এখন আপনারাই বলুন , আমরা প্রমাণবিহীন লেখকের কথা বিশ্বাস করবো নাকি , আল্লাহর বাণী কুরআনের কথা বিশ্বাস করবো ?এসব কথা লেখার আগে উল্লিখিত আয়াত গুলোর কথা একবারও কি লেখকের মন পড়েনি ?কিতাবখানি প্রকাশের পর তাবলীগী জামায়াতের কোন আমীরের নজরে কি তা পড়েনি ?তাহলে একমাত্র এই কিতাব তারা কেমন পড়া পড়েন ?নাকি গোঁড়ামীর কারণে তা সংশোধন করতে পারেননি ।
আমি তাদের অনেকের সাথে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি । আমার কাছাকাছি থাকা তাবলীগের আমীর – চিল্লা লাগানো আলেমদের সাথেও । তারা সত্যের কাছে হার মানলেও কেউ সংশোধনে আসেনি । একজন তো বলে ফেললেন আমি হাদীস অস্বীকার কারী । আমি বললাম , আচ্ছা বুঝলাম আমি হাদীস অস্বীকারকারী । তাহলে আপনি কি ? পরস্পর বিপরীত দুটি জিনিসের প্রতি একসাথে বিশ্বাস রাখা যায় না । যেখানে কুরআন এবং হাদীস পরস্পর বিপরীত কথা বলছে সেখানে দুটিই একসাথে সত্য হতে পারে না । আর এক্ষেত্রে কোরআনকে কোন মুমিন-মুসলিম বাদ দিতে পারে না । আর যে হাদীস কুরআনের বিপরীত কথা বলে সেটা অবশ্যই অবশ্যই নবীর হাদীস নয় । যে কারণে লেখক নিজেও এর কোন রেফারেন্স দিতে পারেন নি । আল্লাহপাক আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন এবং সত্যকে গ্রহণ করার তৌফিক দান করুন । আমীন!
লেখকের মতে শুধু জিকিরে খফিই আমলনামা থেকে বাদ পড়ে না বরং আরো বড় নেকীও বাদ পড়ে যায় । যেমন ফাজায়েলে দরুদ অধ্যায়ে তিনি লিখেছেন – “কেয়ামতের দিবস কোন মুমিন বান্দার নেকী যখন কম হইয়া যাইবে তখন হুজুরে পাক (সাঃ) আঙ্গুলের মাথা বরাবর একটা কাগজের টুকরা মীজানের পাল্লায় রাখিয়া দিবেন যার দরুন তাহার নেকীর পাল্লা ভারী হইয়া যাইবে । সেই মুমিন বান্দা বলিয়া উঠিবে আপনি কে ? আপনার সুরত কতই না সুন্দর । তিনি বলিবেন আমি হইলাম তোমার নবী এবং ইহা হইল আমার উপর পড়া তোমার দরুদ শরীফ । তোমার প্রয়োজনের সময় আমি উহা আদায় করিয়া দিলাম । – ফাজায়েলে দরুদ : ৩৪পৃঃ ।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল আল্লাহর সাথে , আর এ ঘটনা ঘটেছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে ।
আমরাতো জানি দরুদ সহ সকল ইবাদাতের সওয়াব আমলনামায় সংরক্ষিত থাকে । কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পঠিত দরুদ আমলনামায় পাওয়া গেল না তা পাওয়া গেল রাসূল (সাঃ) এর হাতে । এটা রাসূল (সাঃ) এর হাতে পৌঁছল কি করে ? আমলনামা তো ফেরেস্তা সংরক্ষন করেন , নবী-রাসূলরা নয় । লেখক এবং এর তালিমকারীরা (পাঠকারীরা) কি বলবেন ? এটাও কি জিকিরে খফি যা ফেরেস্তাদের কিতাব থেকে লিপিবদ্ধ হওয়া থেকে বাদ পড়ে গেল ? আরও বিস্ময়কর ব্যাপার হল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মুমিন হওয়ার পরও সে নবীকে চিনতে পারেনি । অথচ হাদীস থেকে জানা যায় মুমিনরা কবরেই সওয়াল-জওয়াবের সময় নবীকে চিনে ফেলবেন ।
অতএব আপনারাই বলুন , তাবলীগের তালিমী বৈঠকে বসে কুরআন এবং সহীহ হাদীস বিরোধী এই সমস্ত বর্ণনা শুনলে আমাদের ঈমান ভেজাল মুক্ত হবে নাকি ভেজাল যুক্ত ?

রাফউল ইয়াদায়েনের গুরুত্

রাফ‘উল ইয়াদায়েনের গুরুত্ব ও ফযীলত : ************************************ (১) ইবনু ওমর (রাঃ)-এর ভূমিকা- عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَر...